প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ১৯, ২০২৫, ৬:০৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ৩:৩৪ অপরাহ্ণ
মির্জাগঞ্জে যুবদল নেতাকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় ৩৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম কে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
আহতের বাবা হারুন রাড়ী বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানায় নামধারী ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসার ইনচার্জ শামীম হাওলাদার।
মামলার বিবরণ ও আহত সুত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলাম মির্জাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন। এছাড়া তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী।
গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি নান্নু মুন্সির চাচাতো ভাই তারেক মুন্সী ফোন করে ডেকে নেয় সাইফুল ইসলামকে।
সাইফুল বাসা থেকে বের হয়ে সুবিদখালী গার্লস স্কুল সংলগ্ন কবুতর ব্রিজের পাশে আসলে হঠাৎ তারেক মুন্সির ছেলে সিয়াম ও তাদের সহযোগী ফারুক মুন্সী, মেহেদী, সাইফুল হাওলাদার ও তার বাবা সিদ্দিক হাওলাদার, শাওন, জুয়েল,সহ নামধারী ১৩ জন আসামি পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টায় যুবদল নেতা সাইফুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। আহত সাইফুলের ডাক চিৎকারে পথচারী ও স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। সেখানে তারা অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। তবে কেন বা কি কারনে হামলা হয়েছে এর কোন কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায় নি বলে জানান আহত সাইফুল।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুলের মাথায় ও বাম পায়ের গোড়ালি হাঁটুতে মারাত্মক জখম হয়েছে। এছাড়া তার বাম হাতের তৃতীয় আঙ্গুলটা ভেঙ্গে যায়। পাশাপাশি তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষত বিক্ষত ছিন্ন রয়েছে।
বর্তমানে সাইফুল উন্নত চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তার বাম চোখে মারাত্মক জখম রয়েছে। তবে সুস্থ হতে সময় লাগবে এমনটা জানিয়েছেন চিকিৎসক।
এদিকে সাইফুলের বাবা হারুন রাড়ি জানিয়েছেন, পুলিশ এখন পর্যন্ত আসামীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারিনি, তবে থানা পুলিশ জানিয়েছেন গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া দিন।
© Copyright, All Rights Reserved, EkusherChokh24