নিজস্ব প্রতিবেদক
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা চলাচলের রাস্তা নিয়ে সংঘর্ষে তাসলিমা নামে এক মহিলাকে পিটিয়ে আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রাজপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন আহত তাসলিমাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল মেডিকেলের রেফার করেন। বর্তমানে তাসলিমা হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় আহত তাসলিমার ছেলে আলম বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি অভিযোগ দেয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আলমদের পরিবারদের চলাচলের রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশী জলিল হাওলাদারের ছেলে ইউনুস হাওলাদার, মৃত ওয়াহেদ হাওলাদারের ছেলে আব্দুল জলিল ও নাসির হাওলাদারের সাথে বিরোধ চলে আসছে। আলেমদের বসতবাড়ি চলাচল পথ প্রতিপক্ষ ইউনুস গং জোরপূর্বক দখল করে চলাচল করে বসতবাড়ির ঘর সহ বিভিন্ন স্থান ক্ষতি করে। এছাড়া আলেমদের পরিবারের মেয়েদের উপর বিভিন্ন কুদৃষ্টি দেয়।।
https://youtu.be/qu0G__uUVoU?si=pWlcIvyP91LkkNBf
আলমরা বাধ্য হয়ে প্রতিপক্ষ ইউনুস কে চলাচলের জন্য অন্য পাশ দিয়ে রাস্তা দিলে তাতে তারা রাস্তা ব্যবহার করে না। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলমদের সাথে ইউনুস গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।এরই জের ধরে ঘটনার দিন গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ইউনুস ও তার বাবা, জলিল, তাদের সহযোগী নাসির, ইব্রাহিম, হোসাইন, হাসান সহ অজ্ঞাত কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টায় আলমের মা তাসলিমা বেগমকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় আলম বাঁচাতে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত তাসলিমার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ালি ভেঙ্গে যায়।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার এ এস আই আইয়ুব আলী জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।