কাউখালীতে তালাকপ্রাপ্ত সতীনের হামলা, আহত ৩
পিরোজপুরের কাউখালী থানা এলাকায় তালাকপ্রাপ্ত সতীন ও তার পরিবারের হামলায় দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী সহ তিনজন রক্তাক্ত হয়েছে।এ সময় তারা ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে নগদ টাকাও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। গত চার আগস্ট সোমবার বিকেল চারটার দিকে কাউখালীর ৭ নং বাঁশরী ইউনিয়নের বাঁশরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, ওই এলাকার পল্লী চিকিৎসক কাজী মনিরের দ্বিতীয় স্ত্রী নিপা এবং নিপার বোনের ছেলে মুহিম, এবং মহিমের মা হাসিনা বেগম। বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত নিপা জানান, ১৫ বছর পূর্বে কাজী মনির তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী নাসিমাকে তালাক দিয়ে নিপাকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে নিপার তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে কাজী মনির বসবাস করা বাড়িঘর জমি নিপার নামে দলিল করে লিখে দেয়।গত সোমবার কাজী মনির রাজনৈতিক একটি মামলায় জেল হাজতে যায়। এই সুযোগে কাজী মনিরের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী নাসিমা ও তার ছেলে -মেয়ের স্বজনরা বাড়িঘর দখল করতে নিপার বসত ঘরে আক্রমণ চালায়। তারা অর্ধ শতাধিক লোক নিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর লুটপাট চালিয়ে পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে -পিটিয়ে গুরুতর ভাবে আহত করেন। পাশাপাশি নিপার বসত কর জবরদখল করে নেয়। এদিকে ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে তালাক প্রাপ্ত সতীন নাসিমা ও তার বোন দিলরুবা হাসপাতালে নাটকীয় কায়দায় ভর্তি হয়।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।