বাবা-মা’কে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন ছেলে ও তার পুত্রবধু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত জুলাই ২০, ২০২৫, ১৩:০৯ অপরাহ্ণ
পাঁচ লাখ টাকা চেয়ে না পেয়ে ষাট বছরের বৃদ্ধ বাবা মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট তোফাজ্জল হোসেন ও মা আলেয়া বেগমকে বেধরক মারধর করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছেলে ও তার পুত্রবধূর বিরুদ্ধে।
এ সময় বৃদ্ধ বাবাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ঘরে থাকা দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।গত শুক্রবার ১৮ জুলাই দুপুর ১২ টার সময় বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকা এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ওই বৃদ্ধ বাবা – মাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিলে থানা পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত তোফাজ্জল হোসেন জানান, তোফাজ্জল হোসেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। তারছোট ছেলে সুমন ৫১ বিজিবি রংপুরে বাবুর্চি পদে চাকুরী করে। সুমনের বিয়ের ১৫ বছর অতিক্রম করলেও দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সুমন ও তার স্ত্রী লাকি বেগম আমাদেরকে পারিবারিক কলহ নিয়ে নির্যাতন করেন। সুমন একজন মাদক সেবনকারী। মাদক নিয়ে একবার প্রশাসনের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়ে। বিষয়টি প্রমাণিত হলে বিজিবি অধিদপ্তর তাকে চাকরিচুত্য করে। দীর্ঘ নয় বছর পর গত ৪-৫ মাস পূর্বে চাকুরী ফিরে পায়। এরপর থেকে সুমন আরও বেপরোয়া হয়ে যায়। পূর্বের ন্যায় নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাকে অপদস্ত করা শুরু করে। এমনকি বাবা- মায়ের উপর প্রতিনিয়ত মারধর করেন।ঘটনার দিন গত শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে বাবা তোফাজ্জল হোসেনের নিকট ৫ লাখ টাকা চায় ছেলে সুমন। টাকা চেয়ে না পেয়ে এক পর্যায়ে বাবা তোফাজ্জল হোসেন কে বেদম মারধর করে সুমন ও তার স্ত্রী লাকি। এ সময় তোফাজ্জলকে বাঁচাতে স্ত্রী আলেয়া বেগম আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেন সুমন ও তার স্ত্রী। এ সময় বাবা-মা দুজনের উপরে অমানসিক নির্যাতন চালিয়ে ঘরে থাকা দুই লাখ টাকা নিয়ে যায়।
বাবা তোফাজ্জল আরো জানান, আমার ছেলের সুমন আমাকে জুতাপেটা করে, এমন কুলাঙ্গার ছেলে আর যেন কারো না হয়। আমি ওর কঠিন বিচার চাই।
সুমনের মা আলেয়া বেগম জানান, আমার ছেলে ও ছেলের বউ খুব খারাপ। টাকার জন্য আমার স্বামীসহ আমাকে প্রায় অমানুষিক নির্যাতন করে। অনেক সহ্য করেছি আর করব না।
অভিযুক্ত সুমন জানান,মারধরের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ছেলে সুমন মুঠোফোনে বলেন, আমার বাবাকে মারেনি। বাবা মা আমাকে অভিযুক্ত করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, বাবা- মায়ের উপর হামলার ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বাবা মায়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেছে তাদের উপরে হামলা হয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্তপূর্বক দেখা হবে।