• ২রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহিপুরে জমি লিখে না দেয়ায় স্বামীকে কুপিয়ে জখম স্ত্রী ও তার পরিবারের

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২১, ২০২৪, ১৬:৪১ অপরাহ্ণ
মহিপুরে জমি লিখে না দেয়ায় স্বামীকে কুপিয়ে জখম স্ত্রী ও তার পরিবারের

মহিপুরে জমি লিখে না দেয়ায় স্বামীকে কুপিয়ে জখম স্ত্রী ও তার পরিবারের

কলাপাড়ার মহিপুর থানার আলিপুর গ্রামে স্ত্রীর পরকীয়ার প্রতিবাদে স্বামীকে হত্যার চেষ্টায় হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তার সাথে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।গত শুক্রবার পৌনে বারোটার দিকে আলিপুর সংলগ্ন নিজ বাসার সামনে ঘটনা ঘটে। আহতের নাম সবুজ মোল্লা, সে ওই এলাকার আব্দুল খালেক মোল্লার ছেলে ও একজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে গুরুতর অবস্থা বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত সবুজ মোল্লা জানান, দীর্ঘ আট বছর পূর্বে সবুজ মোল্লার সাথে লতাচাপলি ইউনিয়নের দিয়ারামখোলা এলাকার করিম হাওলাদারের মেয়ে রাশিদার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রাশিদা বিভিন্ন পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এছাড়া বিয়ের পূর্বে রাশিদার আরো বিয়ে ছিল এটা গোপন রেখেছে রাশিদার পরিবার। ওই ঘরে তার একটি সন্তানও রয়েছে। বিষয়টি বিয়ের পর জানাজানি হলে পারিবারিকভাবে দ্বন্দ্ব হয়। পরের সুখের কথা চিন্তা করে সাংসারিকভাবে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নেয় সবুজ। গত এক বছর পূর্বে রাশিদা এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক করে হাতেনাতে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্বামী সবুজের সাথে রাশিদার দন্ধ হয়। এছাড়া সবুজের বিরুদ্ধে রাশিদা বাদী হয়ে পটুয়াখালী আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলা করে ও রাশিদা সাবলীল ভাবে সবুজের সাথে সংসার করে। গত কয়েকদিন ধরে রাশিদা তার নামে জমি লিখে দিতে সবুজ মোল্লার কাছে দাবি করে।

এরই জেরে ঘটনার দিন শুক্রবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সবুজ মোল্লাকে তার বাসার সামনে একা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা চালায় রাশিদার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। একপর্যায়ে রাশিদার ভাই কালু, আগের ঘরের ছেলে হৃদয়, তাদের সহযোগি জাফর, আবুল আলামিন, আলী হোসেন সহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজন সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে সবুজ মোল্লাকে হত্যার চেষ্টা এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সবুজ মোল্লা আরো জানিয়েছেন, তার স্ত্রী রাশিদার অপর চার বোন ও ভাইদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ রয়েছে। সবুজের সমন্ধি আলী হোসেন তার স্ত্রীকে পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যা করে। এদের চরিত্র ভালো না। এই পরিবারটি এলাকার মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট বল অভিযোগ করেন।স্থানীয় পরিবারের লোকজন সবুজকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা তুলাতুলি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে রেফার করেন।

সবুজ আরো জানান, আমার বসত বাড়িটা রাশিদা তার নামে লিখে দিতে সবুজকে চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও রাশিদা তার পূর্বের স্বামীর সাথে এখনো যোগাযোগ রাখছে।আর এটাকে কেন্দ্র করে সবুজকে হত্যার টার্গেট করে হামলা চালানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন....