
পটুয়াখালীতে স্বামী, শশুর ও শাশুড়ির নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ হাসপাতালে
পটুয়াখালী জেলার বড় বিঘা ইউনিয়নের তিতকাটা গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ সোনিয়াকে হত্যার চেষ্টায় অমানুষিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী, শশুর, ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে।
এ সময় আহত গৃহবধুর সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।গত ২৩ জুন সকাল ৯ টার দিকে শশুর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।হামলার পরে আহত সোনিয়া কে কয়েকদিন ঘরের ভিতরে আটকে রাখা হয়। সোনিয়া কোনরকম বাসা থেকে পালিয়ে এসে তার পরিবারকে জানালে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন। সোনিয়া ওই এলাকার আউয়াল গাজীর ছেলে নুরুল ইসলাম হাওলাদার এর স্ত্রী।
আহত সোনিয়া জানান, গত তিন বছর পূর্বে বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা তোরাব আলী খান সড়কের বাসিন্দা মুনসুর আলী শিকদারের মেয়ে সোনিয়ার সাথে পটুয়াখালী জেলার বড় বিঘা ইউনিয়নের তিতকাটা গ্রামের আউয়াল গাজীর ছেলে নুর ইসলামের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের কয়েক দিন পরে গৃহবধূ সোনিয়া জানতে পারেন স্বামী নুর ইসলামের একাধিক বিয়ে রয়েছে এমনকি একটা ২০ বছরের সন্তান রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে যখন পারিবারিকভাবে দ্বন্দ্ব হয়, তখন স্বামী নুর ইসলাম স্ত্রী সোনিয়ার কাছে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের দাবিতে সোনিয়ার উপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। পর্যায়ক্রমে নির্যাতন দিনে দিনে বাড়িয়ে দেয়। সোনিয়া সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে বারবার নির্যাতন সহ্য করে থাকে।
ঘটনার দিন গত ২৩ জুন সকালে যৌতুকের দাবিতে স্বামী নুর ইসলাম , শাশুড়ি আকলিমা এবং শ্বশুর আওয়াল গাজী যৌতুকের দাবিতে সোনিয়াকে ঘরের মধ্যে আটকে কয়েক ঘন্টা ব্যাপী নির্যাতন চালায়। সোনিয়ার সারা শরীরে ক্ষত বিক্ষত চিহ্ন রয়েছে। নির্যাতনের ঘটনায় স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।