
চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ী সহ পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ
বরগুনা জেলার সদর ফুলজুরি ৩ নং ইউনিয়নের মধ্যম গুদিঘাটা এলাকায় চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ী সহ পরিবারের চারজনকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে স্বর্ণ অলংকার, নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
আহতরা হলো ওই এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী পারভেজ হাওলাদার, ও পারভেজের স্ত্রী আশা আক্তার আলো, ছেলে ইয়াসিন আরাফাত ও প্রতিবেশী মঞ্জু বেগম।এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পারভেজকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় এবং অন্যান্যরা বরগুনা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
আহত পারভেজ জানান, পারভেজ হাওলাদার গুদিঘাটার ডউয়াতলা এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত ওয়ার্কশপ ব্যবসা করে আসছেন। তাছাড়া তার তেল পেট্রলের দোকানে রয়েছে। প্রায় সময় এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হামজার ছেলে রিয়াজ ও তার সহযোগীরা পেট্রোল ভরে টাকা না দিয়ে চলে যায়। পাওনা টাকা চাইতে গেলে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এমনকি চাঁদা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে রিয়াজ ও তার শ্যালক হৃদয়, তাদের সহযোগী জাকিরের ছেলে নাইম, আব্দুর রশিদের ছেলে শাকিল, আব্দুল সুলতান মীরের ছেলে সোলেমান, মজিবর আকনের ছেলে মারুফ আকন, শহীদ কাজীর ছেলে মেহেদী সহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা পারভেজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। এ সময় পারভেজের স্ত্রী আশা আক্তার আলো, ছেলে ইয়াসিন আরাফাত এবং প্রতিবেশী মঞ্জু আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন রিয়াজ সহ অন্যান্য সহযোগীরা। থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে হামলার ঘটনার পর আহত পরিবারকে হামলাকারীরা বিভিন্ন ভয়-ভীতি সহ হুমকি প্রদান করে আসছে। আহত এর পরিবার বর্তমানে হামলাকারীদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা আরো জানেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কঠোর দৃষ্টিপাত কামনা করছেন।