
গ্রাম পুলিশসহ পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় ৩ নং তেলিখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ আমির হোসেন সহ পরিবারের ৪ জনকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
৩০ আগস্ট শনিবার দুপুর দুইটার দিকে তেলি খালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হল, ওই এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে গ্রাম পুলিশ আমির হোসেন, এবং আমির হোসেনের স্ত্রী খাদিজা বেগম ,মেয়ে সীমা আক্তার, ও নাতি মহিউদ্দিন সিয়াম। বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থা বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত গ্রাম পুলিশ আমির জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে আমির হোসেন ও তার পরিবারদের সাথে আমিরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ইউসুফ ও তার পরিবারদের বিরোধ চলে আসছে।
আমিরের পৈত্রিক ওয়ারিশ জমি জোরপূর্বক জবরদখল করার চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষ ভাতিজা ইউসুফ গং।
বিষয়টি নিয়ে আমির স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রশাসনকে জানালে ইউসুফ ও তার সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
ঘটনার দিন শনিবার দুপুরে জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে এক পর্যায়ে ইউসুফ এবং তার ছেলে শাকিল, ইউসুফের মা খাদিজা, স্ত্রী তাসলিমা,সহ ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টায় প্রথমে গ্রাম পুলিশ আমির হোসেন এর উপরে অতর্কিত হামলা চালায়, আমিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ সময় আমিরকে বাঁচাতে স্ত্রী খাদিজা, মেয়ের সীমা ও নাতি সিয়াম আসলে তাদেরকেও কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন ইউসুফ সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
স্থানীয় পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলের রেফার করা হয়।
এদের মধ্যে আমির হোসেন ,খাদিজা ও সীমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে অবস্থার অবনতি হলে যে কোনো সময় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে
জানা যায়।