
বরিশাল বিমান বন্দর থানাধীন কলস গ্রামে জমি জমা বিরোধের জের ধরে মামি-ভাগ্নিসহ পরিবারের পাঁচজনকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো, ওই এলাকার বাসিন্দা সালাম ব্যাপারীর স্ত্রী রুনা বেগম, রুনার ভাগ্নি রহিমা বেগম, তাদের স্বজন কামাল হোসেন, ফাহিমা আক্তার এবং নবীন।
এদের মধ্যে রুনা ও রহিমাকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
আহত রুনার স্বামী সালাম জানান, পাঁচ বছর পূর্বে সালাম বেপারী এবং সালামের চাচাতো ভাই কামাল বেপারী, ভাগ্নি রহিমা বেগম ও ফাতেমা বেগম যৌথভাবে প্রতিপক্ষ মৃত আফেজ উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে আনোয়ার এবং মেয়ে টুলুর কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়।একই সাথে একই দাগ ও একই খতিয়ানের পার্শ্ববর্তী বশির উদ্দিনের কাছ থেকে আরো ৩ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। ক্রয়কৃত জমিতে সালাম বেপারীসহ তাদের স্বজনরা টিনের ঘর তৈরি করে বসবাস করে আসছে। সালাম বেপারীর ওই জমিতে থাকা একটি অপরিপূর্ণ ঘর জবরদখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষ আনোয়ার গং। আনোয়ার একটি চেক প্রতারণা মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।আনোয়ার এর স্ত্রী হোসনেয়ারা সহ একদল সন্ত্রাসী বুধবার ভোররাতে রাতের আঁধারে সালামের ঐ ঘর টি দখল করতে আসে। সেখানে শব্দ পেয়ে সালামের স্ত্রী রুনা, রুনার ভাগ্নি রহিমা তাদের সহযোগী কামাল, কামালের স্ত্রী ফাহিমা এবং নবীন বাঁচাতে আসলে তাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন হোসনেয়ারা সহ ১৫-২০ জন সহযোগী সন্ত্রাসী। হত্যার চেষ্টায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুনা ও রহিমাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
সালাম আরো জানান, ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে প্রতিপক্ষ আনোয়ারের স্ত্রী হোসনেয়ারা হাসপাতালের ভর্তি হয় আমাদেরকে ফাঁসাতে। এমনকি তারা আমাদের বিরুদ্ধে ৭ লাখ টাকার নিয়ে যাওয়ার একটি অপপ্রচার চালায়।।
এই ঘটনায় বিমানবন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আল মামুন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।