• ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাউফলে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে ডাকাতি, হামলা, একই পরিবারের ৫ জন হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫, ০০:৫৮ পূর্বাহ্ণ
বাউফলে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ মিশিয়ে ডাকাতি, হামলা, একই পরিবারের ৫ জন হাসপাতালে

পটুয়াখালী বাউফল উপজেলা ৬ নং কনকদিয়া ইউনিয়ন বীর পাশা গ্রামে খাবারের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ প্রয়োগ করে ডাকাতি স্টাইলে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধ স্বামী ও স্ত্রীকে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা সহ মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো, বীর পাশে গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে বৃদ্ধ শাজাহান হাওলাদার, শাহজাহানের স্ত্রী হেলেনা বেগম, পরের দিন ২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার একই খাবার খেয়ে আরো তিনজন আহত হয়েছে

আহতরা হল শাহজাহানের মেয়ে কামরুন নাহার, মেয়ে জামাই ইউসুফ আলম, এবং প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর। বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় একই পরিবারের পাঁচজন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত শাজাহান জানান, শাহজাহান ও তার স্ত্রী রাত ৯ টায় খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। রাত ২ টার দিকে প্রতিবেশী রিয়াজ, আসলাম, দুলাল এবং ইলিয়াস সহ অজ্ঞাত নামা কিছু দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী হঠাৎ গভীর রাতে আমার বিছানায় এসে আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা চেষ্টা চালায়। আমি ও আমার স্ত্রী ডাক চিৎকার করলে আমাকে মারধর করে আমার সামনের দাঁত ভেঙ্গে দেয় রিয়াজ সহ অন্যান্য সহযোগীরা। পর্যায়ে কর্মে তারা আমাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার নগদ টাকা ও মালামাল নিয়ে যায়। ধারণা করা যায় সন্ধ্যা রাতে তারা ঘরের মধ্যে আগে থেকে ঢুকে পলাতক ছিল। তবে আমরা সন্ধ্যা রাতে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। আমাকেও আমার স্ত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বুধবার দুপুরের পর আমার জ্ঞান ফিরে।

ঘটনার পরের দিন মেয়ে কামরুন নাহার, মেয়ে জামাই ইউসুফ আলম ও প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর বাসায় আসে। ঘরে থাকা খাবার খেয়ে তারাও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তবে এই ঘটনাটি সু কৌশলে করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।।

এ ঘটনায় বাউফল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....