
বরগুনা প্রতিনিধ
বরগুনার আমতলী উপজেলায় কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদে ভাবী, ভাতিজি ,ও বোনকে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দেবর ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত সাত নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার নাচনাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলো, হারুন হাওলাদারের স্ত্রী ভাবি রাশিদা বেগম, রাশিদার মেয়ে ভাতিজি মেহেরুন্নেসা এবং বোন রাজিয়া বেগম।বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।আহত রাজিয়া জানান, আমার বড় ভাই শহিদুল দীর্ঘদিন ধরে আমার অপর ভাই হারুনের স্ত্রী রাশিদা কে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা পারিবারিকভাবে বসে সমাধানের চেষ্টা করি এবং শহিদুল কে সাবধান করে দেয় স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। কিন্তু তা উপেক্ষা করে পুনরায় বড় ভাইয়ের স্ত্রী রাশিদা কে রাশিদা কে প্রস্তাব সহষ্টন ডিস্টার্ব করে। এতে রাশিদা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবাদ করলে ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে হত্যার চেষ্টায় রাশিদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন শহিদুল সহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। এ সময় রাশিদার মেয়ে মেহরুন্নেসা বাঁচাতে আসলে তাকেও কুপিয়ে জখম করেন শহিদুল ও তার স্ত্রী। মা – মেয়ে দুজনের ডাক চিৎকারে শুনে বোন রাজিয়া ঘটনাস্থলে এসে শহিদুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সাক্ষীর কথা বললে তাকেও কুপিয়ে পিটিয়ে বাম হাত ভেঙ্গে দেয় শহিদুল ও তার স্ত্রী রুমানা।স্থানীয় পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন সেখানে তিনজনের অবস্থারই অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলের রেফার করে।এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।