
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মোবাইল চুরির প্রতিবাদে একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৮ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলার ৪ নং ওয়ার্ড নদমুল্লা গ্রামে ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো, ওই এলাকার মৃত ফজলু হাওলাদার এর ছেলে কুদ্দুস হাওলাদার, কুদ্দুসের ছেলে শাকিব ও মেয়ে খুশি। আহতরা বর্তমানে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের মধ্যে খুশি ও কুদ্দুসের অবস্থা আশঙ্কাজনক তবে অবস্থার অবনতি হলে যে কোন সময় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করতে পারে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আহত কুদ্দুস জানান, কয়েকদিন পূর্বে আমার ছেলে শাকিব পার্শ্ববর্তী পলাশ এর কাছ থেকে একটি পুরানো মোবাইল ক্রয় করেন। পরে ওই মোবাইলটি চুরি হয়ে যায়। চুরি যাওয়া মোবাইল টি ওইদিনই বিক্রেতা শাকিল এর কাছে পাওয়া যায়, আর এটাকে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এরই জেরে শাকিল ও তার সহযোগী সবুজ, সবুজের বাবা মনির সহ ৫-৬ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে শাকিবের উপরে হামলা চালায়, শাকিবকে বাঁচাতে তার বাবা কুদ্দুস এবং বোন খুশি আসলে তাদেরকে কুপিয়ে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দেয়। স্থানীয় ও থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল মেডিকেলের রেফার করা হয়।
আহত কুদ্দুস আরো জানান, এলাকার যুবলীগ নেতা রিয়াজ ফরাজী নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া হামলার পরপর এই পরিবারকে বাড়াবাড়ি করলে খুন জখমের হুমকি দেওয়া হয়।এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।