বাউফলে ফ্যাসিস্ট আ,লীগ নেতাকে স্কুল এডহক কমিটির সভাপতি বানাতে একটি কুচক্রি মহল সোচ্চার!

• অনুসন্ধানী রিপোর্ট :ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালালেও পালায়নি তার সাঙ্গপাঙ্গরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বহাল তবিয়তে থাকতে প্রশাসনকে ভুলভাল বুঝিয়ে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তথ্য গোপন করে বিধিবহির্ভূতভাবে একজন ব্যাংকারকে সভাপতি বানাতে সরব তারা। ঘটনাটি পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। উক্ত বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠনে চলছে নানান ষড়যন্ত্র, তালবাহানা। ১৫ ডিসেম্বর রবিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে নূর মোহাম্মদ মৃধাকে সভাপতি হিসেবে এক নম্বরে নাম প্রস্তাব করলেও তা মানতে নারাজ আওয়ামী ঘরানার লোকজন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী সরকারের দক্ষিণাঞ্চলের শীর্ষ নেতা আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুসারী বাউফল পৌরসভার মেয়র জুয়েলের অনুসারী উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ১৪ নং নওমালা ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহাজাদা হাওলাদারের ভাই রুপালি ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার নজরুল ইসলামকে সভাপতি বানাতে গোপন মিশনে নামছে তারা। তারা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বরিশালের ডিপিএমজি মঞ্জুরুল ইসলামকেও তালিকায় রাখছেন ভিন্ন কারণে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের ১৭২ শতাংশ জমি থেকে বেশ কিছু জমি একটি আওয়ামী লীগ পরিবার জবর দখল করে রাখছে। তারা কোনক্রমেই চাচ্ছে না ওই জমির দখল ছাড়তে। তাই তারা তাদের স্বপক্ষের লোকজনকে সভাপতি বানাতে প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে প্রভাবশালী একাধিক লোককে ম্যানেজ করতে শোনা যাচ্ছে।

এদিকে, স্কুলের উন্নয়ন এবং বেহাত জমি উদ্ধারের স্বার্থে সাবেক সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ মৃধাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চান এলাকাবাসী। ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর জোর দাবি জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন নূর মোহাম্মদ মৃধাকে সভাপতি নির্বাচিত করেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাতের ভোটের জনক সাবেক বিতর্কিত সিইসি নুরুল হুদার ভাই নাসির উদ্দীন খান। উপরোল্লিখিত আওয়ামীলীগের নেতাদের চক্রান্তের বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা চায় এলাকাবাসী। আওয়ামী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ জনগণ।