• ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে সাবেক কাউন্সিলর সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, আটক-২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত অক্টোবর ৬, ২০২৪, ২২:৩৭ অপরাহ্ণ
বরিশালে সাবেক কাউন্সিলর সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, আটক-২
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডস্থ হরিনাফুলিয়া এলাকায় ঘরবাড়ি- ভাঙচুরে লুটপাট সহ ৫ জনকে কুপিয়ে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গত ছয় অক্টোবর রবিবার কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছেন চম্পা বেগম নামের এক নারী। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে হরিনাফুলিয়া নাপিত পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে,আহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত শুকুর মুন্সির ছেলে মোঃ কবির মুন্সি (৪৫), তার স্ত্রী চম্পা বেগম (৪০), তার ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম (২০), মোকছেদ হাওলাদারের স্ত্রী লাকি বেগম (৪২), আলাউদ্দিন গাজীর স্ত্রী লাকি আক্তার (৩৫)।সংবাদ পেয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ হামলাকারী হেদায়েত মীর ও রিন্টুকে আটক করে। এবং অন্যান্য আসামীরা পালিয়ে যায়। এমনটাই নিশ্চিত করছেন মডেল থানা পুলিশের এসআই মিলন বিশ্বাস।মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডস্থ টিয়াখালী এলাকার আইয়ুব আলী মীরের ছেলে মোঃ হেদায়েত মীর (৩৮), দরগাহ বাড়ী এলাকার কাঞ্চন হাওলাদারের ছেলে মোঃ রিংকু হাওলাদার (৩৫), টিয়াখালী এলাকার নুরুল আকনের ছেলে মোঃ রাসেল আকন (৪০), বরের ভিটা এলাকার আঃ হালিম হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার (৩৫), মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ নয়ন (৩৫), ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো: ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার (৫৫) সহ অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ জন।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়- চম্পা বেগমের সঙ্গে আসামী মোঃ হেদায়েত মীরের দীর্ঘদিন যাবৎ বসত বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছে। সাবেক কাউন্সিলর মো: ফরিদ উদ্দিন হাওলাদারের উস্কানিতে হেদায়েত মীর বিভিন্ন সময় চম্পা বেগমের বসতবাড়ি দখল নেওয়ার পায়তারাসহ তাদের ভয়ভীতি ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সাবেক কাউন্সিলর মো: ফরিদ উদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে মোঃ হেদায়েত মীর, মোঃ রিংকু হাওলাদার, মোঃ রাসেল আকন, সোহাগ হাওলাদার ও মোঃ নয়নসহ ২৫/৩০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, কুড়াল, কোদাল, শাবল, লোহার রড, লাঠি-সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে চম্পা বেগমের বসতঘরে প্রবেশ করে তার কাঠের ঘর ও টিনসেড বিল্ডিং’র দেয়াল, টিন ও ঘরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এ সময় চম্পা বেগম ও তার স্বামী মোঃ কবির মুন্সি, ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম, লাকি বেগম ও লাকি আক্তার তাদের বাঁধা দিলে হেদায়েত মীরের হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে মোঃ রবিউল ইসলামের বাম পায়ের গোড়ালীর উপরীভাগে আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। এদিকে মোঃ রিংকু হাওলাদার ও মোঃ রাসেল আকন মোঃ কবির মুন্সির পিঠে, পায়ে, কোমড়ে এলোপাথারী আঘাত করে জখম করে। এদিকে তাদের সাথে থাকা ২৫/৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যার উদ্দেশ্যে চম্পা বেগমসহ তার স্বামী মোঃ কবির মুন্সি, ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম, লাকি বেগম ও লাকি আক্তারের মাথা, পিঠে, দুই পায়ে, দুই হাতে, কোমড়েসহ শরীরের সমস্ত স্থানে এলোপাথারী পিটিয়ে, কিল ঘুষি মেরে, লাথি মেরে জখম করে এবং মোঃ হেদায়েত মীর, মোঃ রিংকু হাওলাদার, মোঃ রাসেল আকন, সোহাগ হাওলাদার ও মোঃ নয়ন লাকি বেগম ও লাকি আক্তার পরিহিত কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় তারা চম্পা বেগমের ঘরে বিল্ডিং নির্মাণের নগদ ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকাসহ চম্পা বেগমের ও লাকি আক্তারের ১ ভরি ওজনের ২টি স্বর্নের চেইন, ৬ আনা ওজনের ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। তখন তারা চম্পা বেগমের বসত ঘরের টিন, লোহার দরজা, জানালাসহ আনুসাঙ্গীক মালামাল নিয়ে চলে যাওয়ার সময় এবং অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও খুন জখমের হুমকি দিয়ে আহতদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তারা ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে তাদের উদ্ধার করেন এবং মোঃ হেদায়েত মীর, মোঃ রিংকু হাওলাদারকে আটক করেন। এই সময় উত্তেজিত জনতা তাদেরকে পিটুনি দেয়। কিছুক্ষনের মধ্যে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে হেফাজতে নেন । এ সময় ২টি মটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। এ সময় অন্যান্যরা চম্পা বেগমের ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। অতঃপর স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।চম্পা বেগম বলেন- মোঃ হেদায়েত মীরের দীর্ঘদিন যাবৎ বসত বাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর পিছনে থেকে কলকাঠি নাড়ছে সাবেক কাউন্সিলর মো: ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার। তার নেতৃত্বেই এ হামলা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।সাবেক কাউন্সিলর মো: ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বলেন- ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। পুলিশ এসে আমাকে ফোন করেছিল তাই ওখানে গিয়েছিলাম। একটি চক্র আমাকে হেয়-পতিপন্ন করতে বিপক্ষে কাজ করছে
সংবাদটি শেয়ার করুন....