• ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এ কে ইনস্টিটিউশনে ফিরে আসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে দুর্নীতিবাজ জসীমউদ্দীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত অক্টোবর ৮, ২০২৪, ১৮:৪৪ অপরাহ্ণ
এ কে ইনস্টিটিউশনে ফিরে আসতে দৌড়ঝাঁপ  শুরু করে দিয়েছে দুর্নীতিবাজ জসীমউদ্দীন

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"square_fit":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

রিপোর্ট, খান আব্বাস

দায়েরকৃত মামলা থেকে নিষ্পত্তি না হয়ে স্কুলে যোগদান করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক এইচ এম জসীমউদ্দীন।
এমনকি তিনি যোগদান করতে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও মামলার বাদীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এইচ এম জসিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে যে সমস্ত ফৌজদারী মোকাদ্দমা রয়েছে সেগুলো হলো, বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিচার আদালত যার সি আর মোকাদ্দামা নং ৬৮১ / ২২ সদর। যাহা আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য আছে।
অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে ক্রিমিনাল কোয়াসমেন্টের দাখিল করেন। যার টেন্ডার নং ৭৪০৩৭। উক্ত মোকাদ্দামাটি বিগত ৪ জুন শুনানি আন্তে মহামান্য হাইকোর্ট খারিজ করিয়া দেন। আদেশে উল্লেখ করেন তার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে বিচার চলবে।
এছাড়া তিনি সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্ট আপিল বিভাগে সিভিল রিভিশন দায়ের করেন। যার মোকাদ্দামা নং ৪৭২৬/২৩। যাহা বর্তমানে চলমান আছে। এ অবস্থায় মহামান্য হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কাউকে পূর্ণ বহাল করা আইনগতভাবে সম্ভব নয়। কিন্তু চতুর এই সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জসীমউদ্দীন আইনের নিয়ম কানুন তোয়াক্কা না করে স্কুলে ফিরে আসতে বিভিন্নভাবে দৌড়ঝাপ শুরু করে দেয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইরিন পারভিন।
অভিযোগ রয়েছে, গত ৫ই আগস্ট সরকার পতনের পর ৭ ই আগস্ট দুপুর আনুমানিক বারোটার দিকে বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক জসীমউদ্দীন কিছু বহিরাগত লোকজন নিয়ে একে ইনস্টিটিউশনে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে ঢুকে মুক্তিযোদ্ধা কর্নার ভাঙচুর চালায়। স্কুলের হেডমাস্টার রুমের ডিভাইস ও রাউটার নিয়ে যায় ।বর্তমানে বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে ফোনের মাধ্যমে মামলার বাদী প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বশির আহমেদকে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদান করেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দিচ্ছেন। বর্তমানে বাদী ও স্কুলের শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এমনকি
বরখাস্ত হওয়া জসীমউদ্দীন সে স্কুলে ফিরে আসতে বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রচার করে স্কুলের সুনাম নষ্ট করছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রধান শিক্ষক জসীমউদ্দীনের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলো যদি ঠিক করে এখানে আসতে পারে তাহলে ম্যানেজিং কমিটি তাকে বরণ করে নেবেন, সে স্কুলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইরিন পারভিন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন,দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক জসীম উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আত্মঘাতী অপপ্রচার চালাচ্ছেন।শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। তাদের চরিত্র হরণের জন্য নানা রকম নাটক সাজাচ্ছেন।
২০০৯ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এইচ এম জসিম উদ্দিন। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।এরপর থেকে অস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠানের দুটি শ্রেণিকক্ষ দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।সেখানে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জসীম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে মামলা ও হয়েছে, যা বর্তমানে চলোমান রয়েছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন....