
নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এক মহিষ ব্যবসায়ী সহ পাঁচজনকে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।
গত ২৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার সাচরা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড দরুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, ওই এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মহিষ ব্যবসায়ী নূরনবী, নূর নবীর চাচাতো ভাই, গিয়াস উদ্দিন দালাল, কয়ছর পরীর ছেলে মনির পরী, আব্দুল আজিজ দালালের ছেলে জিলানী দালাল, ইউসুফ দালালের ছেলে মিজানুর দালাল, কবির দালাল।
এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় নূর নবীকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে এবং অন্যান্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
আহত মিজানুর জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মহিষসহ বিভিন্ন কিছুর ব্যবসা করে আসছি।
গত ৫ই আগস্ট সরকার পতন হওয়ার পর কথিত ক্যাডার মোস্তফা ও রফিকসহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। যদি তাদের দাবি কৃত পাচ লাখ টাকা আমরা না দেই তাহলে আমাদেরকে মেরে ফেলবে এমনকি ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিবে।
বিষয়টা নিয়ে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
এরই জের ধরে ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দোরুন বাজারের উত্তর মাথায় জনতা ব্যাংকের নিচে মনির পরীকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন মোস্তফা, রফিক তাদের সহযোগী জসিম চান্দুখা, সাবু খাঁ, মাইনুদ্দিনসহ অজ্ঞাতনামা অর্ধ শতাধিক সন্ত্রাসী। এ সময় মনিরের উপর হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়ে বাঁচাতে আসলে নূরনবী, জিলানী, কবির, মিজানুরকে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন মোস্তফা সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
বর্তমানে আহত নূর নবীর অবস্থা আশঙ্কাজন, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল থেকে তাকে যে কোন সময় ঢাকা মেডিকেলে রেফার করতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।