বরিশাল নগরীর ডিসি ঘাট সংলগ্ন স্পিডবোট ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপি পন্থী লোকজন অনুসারীদের মধ্যে চলছে টানটান উত্তেজনা । অভিযোগ রয়েছে, মালিক সমিতি ও মালিকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে লাখ টাকা চাঁদা দাবির। দাবি কৃত চাঁদা না দেয়া কে কেন্দ্র করে স্পিডবোট ঘাটে চলছে অরাজকতা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মালিক সমিতির নেতা তারেক ও সাদ্দামদের পাঁচটি বোট। গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে তাদের লাইনের লিস্টে খাতা থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়।রাজনৈতিক মামলায় সাদ্দাম ও তারেক কারাগারে থাকায় এই পরিবারটির উপর বিভিন্ন মামলা হামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে পরিবারের দাবি। এমনকি একটি চক্র এই পরিবারকে উৎখাত করতে তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট চালিয়ে তাদেরকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে।
বর্তমানে তারা মানবতার জীবন জাপন করছে। তবে এখানকার বোট মালিকদের দাবি স্পিড বোট ঘাট হবে চাঁদাবাজ মুক্ত। তবে আক্রোশমূলকভাবে কারো লাইন বন্ধ করে দিবে এটা কোন মালিক আশা করছে না।
সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে স্পিডবোট ঘাট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলছে বিভিন্ন গ্রুপের অনুসারীদের কোন্দল।
গত পাঁচ আগস্ট সরকার পতনের পর ডিসি ঘাট স্পিডবোট ঘাট দখল নিয়ে চলছে সংঘর্ষ।
বর্তমানে বিএনপি’র ১০ নং ওয়ার্ড সভাপতি শাহাদাত হোসেন তোতা, বিএনপি নেতা কামরুল, ফরিদা ওরফে গাল কাটা, এদের নির্দেশে
মাসুম, সোহেল, নামে একটি গ্রুপ স্পিডবোট ঘাট দখল নিয়ন্ত্রণ করছে। এমন কি তারা মালিক সমিতির কাছে মোটা অংকের চাঁদাও দাবি করছে।
চাদা না দেওয়ায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাদের মালিকানাধীন পাঁচটি ভোট লাইন থেকে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম শাহ স্ত্রী নিপু আক্তার।
নিপু আরো জানান, শাহাদাত হোসেন তোতা ফরিদা, কামরুল, মাসুম, জাহিদ, সোহেল এরা বিএনপির নেতা দাবী করে আমাদের পালিত দশটি ছাগল স্পিড বোট ঘাটে আটকে রাখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মালিকরা জানান, কারো মাথায় বাড়ি দেওয়া এটা কোন কাজ হতে পারে না। তবে যে যেমন করবে তার ফল তেমন পাবে।
এ বিষয়ে ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন তোতা মিয়ার মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি।