
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী সহ পরিবারের ৭ সদস্যকে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ।
গত শুক্রবার রাত সাতটার দিকে উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড গুংঙ্গারহাট বাজার সংলগ্ন রুমিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হল, ওই এলাকার মৃত রহমত আলীর ছেলে শাহাবুদ্দিন, মোঃ ফরিদ, ফরিদের ছেলে মিজান, মেয়ে তাসলিমা, স্ত্রী, নুরজাহান, ফরিদের ভাগ্নি তানিয়া, মুকুল আহমেদের ছেলে নুরে আলম, মাইনুদ্দিনের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা মারজিয়া বেগম, এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় নুর আলমকে বরিশাল মেডিকেল থেকে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন এবং ফরিদ এবং মারজিয়া বরিশাল ও অন্যান্যরা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ফরিদ জানান, আমার বাবার ওয়ারিশ জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ আবু তাহের গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। আমাদের জমি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা চালায়।
বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের হয়। গত শুক্রবার উভয় পক্ষের আইনজীবী নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালীর সমাধানে বসা হয়। সমাধানে উভয় পক্ষের দলিল দেখে ফরিদের দলিল সঠিক বলে মতামত দেয়। আর এটাকে কেন্দ্র করে রাত সাতটার দিকে প্রতিপক্ষ আবু তাহেরের নেতৃত্বে ফরিদের বাড়িতে এসে ঘর বাড়ি ভাঙচুর ও সশস্ত্র হামলা চালায়, আবু তাহের ও তাদের সহযোগী হাবিব, হামিম, তুহিন, বজলু, রনি, সেলিম, তুহিন, ইউনুস, তোফাজ্জল, মনির সহ একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী, এতে হামলায় আহত হয় শাহাবুদ্দিন, মোঃ ফরিদ, ফরিদের ছেলে মিজান, মেয়ে তাসলিমা, স্ত্রী, নুরজাহান, ফরিদের ভাগ্নি তানিয়া, মুকুল আহমেদের ছেলে নুরে আলম, মাইনুদ্দিনের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা মারজিয়া বেগমকে। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ফরিদ, শাহাবুদ্দিন ও নূরে আলমের মাথায় মারাত্মক জখম হয়।
এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় মামলার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।