• ২৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৪ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মির্জাগঞ্জে জমি দখল করতে অন্তঃসত্তা নারী সহ পরিবারের ৪ জনকে হত্যার চেষ্টা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত জানুয়ারি ১, ২০২৫, ২১:২২ অপরাহ্ণ
মির্জাগঞ্জে জমি দখল করতে অন্তঃসত্তা নারী সহ পরিবারের ৪ জনকে হত্যার চেষ্টা!
একুশের চোখ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় জমি বিরোধীদের জের ধরে অন্তঃসত্ত্বা নারীর সহ পরিবারের চারজনকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা আহতদের সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ও দুই লাখ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
গত ৩০ ডিসেম্বর সোমবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার ১নং মাদকখালি ইউনিয়নের নতুন শ্রীনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন সেখানে তিনজনের অবস্থা অবনতি হলে মুমূর্ষ অবস্থায় তাদেরকে বরিশাল মেডিকেলে রেফার করা হয়। আহতরা হলো, নতুন শ্রীনগর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, এবং শহিদুলের মেয়ে শ্রাবণী,  স্ত্রী শারমিন বেগম এবং মেয়ে জামাই রাকিবুল ইসলাম। এদের মধ্যে শ্রাবণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে বরিশাল মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
https://youtube.com/shorts/sgoPZ2TVr14?feature=share
আহত শ্রাবণী জানান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রাবণীর ক্রয় কৃত জমি ও তার নামের দেওয়া ওয়ারিশ সম্পত্তি নিয়ে শ্রাবণীর চাচা রুহুল আমিন ও তার পরিবারদের সহযোগীদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। রুহুল আমিন ও তার বোন ভগ্নিপতিসহ তাদের সহযোগীরা শ্রাবনীর জমি জোরপূর্বক জবরদখল করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে শ্রাবণী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রশাসনকে অবগত করলে রুহুল আমিনসহ তাদের সহযোগীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এমনকি তারা শ্রাবনী ও তার পরিবারকে এলাকা থেকে উৎখাত করার মিশনে নামে। কারণ শ্রাবনীর কোন ভাই নেই, যে কারণে চাচা ও চাচাতো ভাই ফুফাতো ভাই, বোনেরা এই জমি আত্মসাৎ করার চেষ্টায় শ্রাবণীকে হত্যার চেষ্টা চালায়। শ্রাবনের জমিতে রোপন করা ধান কাটার সময় হয়েছে। ধান কাটাকে কেন্দ্র করে চাচার রুহুল আমিন এর সাথে দ্বন্দ হয়। এরই জেরে
ঘটনার দিন সোমবার রাত ৯ টার দিকে পরিকল্পিতভাবে শ্রাবণী ও তার স্বামী রাকিবুল কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন রুহুল আমিন এবং রুহুল আমিনের বোন নাসিমা, নাসিমার স্বামী আবুল হোসেন,, ছেলে রাফসান জুনায়েদ, তাদের সহযোগী তাসলিমার স্বামী আবুল হোসেন,  চাচি নুপুর, নুপুরের মেয়ে মারুফা সহ একদল ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী। শ্রাবণী ও রাকিবুল কে বাঁচাতে মা শারমিন ও বাবা শহিদুল আসলে তার উপরও অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয় রুহুল আমিন সহ অন্যান্য সহযোগীরা।
এ ঘটনা মির্জাগঞ্জ থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়
সংবাদটি শেয়ার করুন....