
নিজস্ব প্রতিবেদক
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে স্বামী ও স্ত্রীকে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তারা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।গত রবিবার রাত ৯ টার দিকে হরিণপালা গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো, ওই এলাকার সুলতান হাওলাদারের ছেলে ইয়াকুব হাওলাদার, এবং ইয়াকুবের স্ত্রী সালমা বেগম। বর্তমানে তারা গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত ইয়াকুব জানান, দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে ইয়াকুব ও তার পরিবারদের সাথে প্রতিপক্ষ ইয়াকুবের মেজ ভাই অহিদুল ও তার দুই ছেলে সাগর ও জুয়েল এবং বড় ভাই শহীদুল এর ছেলে তরিকুলদের সাথে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছে। প্রতিপক্ষরা ইয়াকুবের জমি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।
- এরই জের ধরে, ঘটনার দিন রবিবার রাত ৯ টার দিকে তুষখালী বাজার থেকে ইয়াকুব বাসায় যাওয়ার পথে হঠাৎ অহিদুলের বাড়ির সামনে তাকে পথরোধ করে অহিদুলের ছেলে সাগর ও জুয়েল, এবং শহিদুলের ছেলে তরিকুল সহ অজ্ঞাত কয়েকজন ইয়াকুবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টায় এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় সংবাদ পেয়ে স্ত্রী সালমা বাঁচাতে আসলে তাকেও পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন সাগর, জুয়েল সহ অন্যান্য সহযোগীরা। এ সময় সালমার সাথে থাকা স্বর্ণালংকার ও ইয়াকুবের সাথে থাকার নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতিপক্ষরা।
ইয়াকুব আরো জানান, বিগত দিনেও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাগর, জুয়েল সহ অন্যান্য প্রতিপক্ষরা ইয়াকুবের স্ত্রী সালমাকে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন সময় পেটে লাথি মারে তার বাচ্চা হত্যা করে। তার পূর্বে ও সালমা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্তা থাকাকালীন সময়ে একইভাবে লাথি মেরে সেই বাচ্চাটাও নষ্ট করে দেয়। এই থেকে তাদের সাথে শত্রুতা চলমান রয়েছে।
এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে স্বজনদের সূত্রে জানা যায়।