গত ১৯ মার্চ রাত এগারোটার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলার জরিপের চর নিজ বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা
আহত লিমাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষণিক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার করেন। সে ওই এলাকার মৃত নয়া-মিয়ার মেয়ে ও একজন নারী উদ্যোক্তা।
আহত লিমা আক্তার বেগম জানান, পৈত্রিক ওয়ারিশ জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ৭ মার্চ লিমার উপর অতর্কিত হামলা চালানোর ঘটনায় জরিপের চর, ৬নং ওয়ার্ডের আঃ মজিদ হাওলাদারের ছেলেমোঃ ফরিদ হাওলাদার (৩৮) এবং তাদের সহযোগী মোঃ আলামিন (২৮), মোঃ মেহেদী (২৫) ৪। মোঃ ইউনুচ খান (৫০) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জন আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলার জন্য একটি অভিযোগ দেওয়া হয়।অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য ১৯ তারিখ রাতে লিমা মঠবাড়িয়া থানায় যায়। থানার কাজ শেষে রাত ১১ টার দিকে বাসার সামনে আসলে হঠাৎ তাকে প্রতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায় আব্দুল মজিদ হাওলাদার এর ছেলে ফরিদ হাওলাদার সহ একদল দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী। একপর্যায়ে ফরিদ হাওলাদার ও তার সহযোগী কাজী মাহমুদুল হাসান, মেহেদী, ইউনুস, সহ ৪-৫ জন সহযোগী পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টায় লীমা আক্তার কে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিমার মাথার ডানপশে এবং বাম পাশের শোল্ডারের নিচে ও পাজরে কাঁটা রক্তাক্ত জখম হয়।
স্থানীয় পরিবারের লোকজন আহত ডাক চিৎকার শুনে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। সেখানে লিমার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল মেডিকেলে রেফার করা হয়।
লিমা বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে অবস্থার অবনতি হলে যে কোন সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার করতে পারে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
https://youtu.be/nuNCxdbgPWo
লিমা জানান, হামলার জন্য থানায় বিচার চাইতে গিয়ে ফের হামলার শিকার হয়ে এখন হাসপাতালে আমি মৃত্যুর সাথে কাতরাচ্ছি। আমি কি বিচার পাব না। প্রশাসন বিষয়টি যেন গুরুত্বসহকারে দেখে আমি তাহার দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বিষয়টি শুনেছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।